বিশ্ব যখন করোনার থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত। শিল্প কলকারখানা, ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ এদের মধ্যে সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ শ্রমিকেরা , বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিক। প্রায় দুই বছর ধরে পর্যাক্রমে বিভিন্ন সময় লকডাইন ঘোষণা হয় মালয়েশিয়া জুড়ে। ১জুন থেকে শুরু হয় ৩য় ধাপে সর্বাত্মক লকডাইন যা চলবে আগামী ১৪ জুন পযন্ত।

লকডাইনের ফলে অনেক প্রবাসী কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে গেছেন যারা আছেন তারও অনেকের কাজ না থাকায় হতাশায় নিমজ্জিত থাকতেন। অনেক হতাশার মধ্যে ছোট একটি খুশির খবর। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মালয়েশিয়া যান প্রবাসী বাপ্পী কুমার দাস ২০১৪ সনে পাড়ি জমান দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে । ভালো বেতন ও কাজের আশায় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে প্রদেশে ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে ২০১৭ সন পযন্ত কাজ করেন ।

২০১৭ সনের শেষর দিখে কুয়ালালামপুর সার্ভিস সেক্টর কাজ শুরু করেন। অল্প বেতনে কাজ শুরু করা প্রবাসী বাপ্পী দাস নিজের যোগ্যতার প্রমান দিতে দিতে আজ এরিয়া ম্যানেজার।

করোনা পরিস্থিতি মালয়েশিয়া সরকার সার্ভিস সেক্টরের কাজ বন্ধ না করায় ধাপে ধাপে লকডাইনে মধ্যেও ব্যাস্তা বেড়েছে বেড়েছে কাজের চাপ।
বাপ্পী বলেন যেখানে প্রায় সকল প্রবাসীদের আয় পর্যায়ে ক্রমেই কমেছে কিন্তু তার আয় করোনার মধ্যে আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে তিনি আরো বলেন সার্ভিস সেক্টরে অনেক বাংলাদেশী কাজ করেন কিন্তু বেশির ভাগ প্রবাসীর কাজ বন্ধ না হলেও আয় কমে গেছে। আমাদের মত অল্প সংখ্যা বাংলাদেশী যারা করোনা পরিস্থিতি মধ্যে কোম্পানির সকল আদেশ মেনে নিয়ে সাহসের পরিচয় দিতে পেরেছি তাদের মধ্যে আমি একজন।

করোনা পরিস্থিতি হতাশ না হয়ে সাহসের পরিচয় দিয়ে ধৈর্য্য ধরে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান বাপ্পী কুমার দাস।